মঙ্গলবার, ২৮ আগস্ট, ২০১২

নজরুলের চলে যাওয়ার দিন!

বল বীর – বল উন্নত মম শির!
শির নেহারি’ আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির!
বল বীর -
বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি’
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি’
ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া
খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া,
উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ববিধাতৃর!
মম ললাটে রুদ্র ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটীকা দীপ্ত জয়শ্রীর!
বল বীর -
আমি চির উন্নত শির!


যার শির দেখে সারা বিশ্ব তাকিয়ে ছিলো বাংলার দিকে। তিনি এই বাংলার মোহান কবি  বিদ্রোহী’ কবি কাজী নজরুল ইসলাম। আজকের এই দিনে ‘বিদ্রোহী’ কবি কাজী নজরুল ইসলাম পৃথিবীর মায়া চেড়ে, আমাদের একা রেখে পাড়ি জমান পরকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় মসজিদের পাশে কবর দেওয়া হয়। কবির ৩৬তম মৃত্যু বার্ষিকিতে সুডল্যাবের পক্ষ থেকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা।
কবি পরিচিতিঃ
নামঃ কাজী নজরুল ইসলাম (ডাক নাম “দুখু মিয়া”)
মাতাঃ জাহেদা খাতুন
পিতাঃ কাজী আমিনউল্লাহ
জন্মঃ ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২৪মে (১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ই জ্যৈষ্ঠ) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে
মৃত্যুঃ ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৯ আগস্ট (ভাদ্র ১২, ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) ঢাকার পিজি হাসপাতালে । 






‘বিদ্রোহী’ কথাটি জেন নিজের জীবনের সাথে লেপে নিয়েছেন এবং আমাদের জন্য রেখে গেছেন বিশাল সাহিত্য ভাণ্ডার। তাই তো বাঙ্গালীর আজ এত অহংকার।  যিনি কথা বলতেন দেশের জন্য স্বাধীনতার জন্য । যার কথায় , কবিতায় থাকতো অত্যাচারিত মানুষের কথা , অবহেলিত মানুষের কথা । তিনি ছিলেন জালিম আর জলুমের জম। তাকে যেমন ভয় ফেয়েছে বৃটিশরা ঠিক তেমনি পাকিস্তানিরা। কবিতার জন্য তিনি বহুবার কারা ভোগ করেছেন। নিপীড়িত এবং অত্যাচারিত হয়েছেন শাসক গুষ্ঠিধারা।
লিচু চোর
কাজী নজরুল ইসলাম
বাবুদের তাল-পুকুরে
হাবুদের ডাল-কুকুরে
সে কি বাস্ করলে তাড়া,
বলি থাম্ একটু দাঁড়া!
পুকুরের ঐ কাছে না
লিচুর এক গাছ আছে না
হোথা না আস্তে গিয়ে
য়্যাব্বড় কাস্তে নিয়ে
কবি যেমন ছিলেন বিদ্রহি ঠিক তেমনি ভাবে কোমল প্রকৃতির তাইতো শিশুদের জন্য রচনা করেছেন বহু ছড়া । যা পাঠকের কাজে কবির প্রতভার নানা দিক উন্মোচিত হয়। একাধারে কবি ছিলেন, সাহিত্যিক, সংগীতজ্ঞ, সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদ এবং সৈনিক। আজ কবিকে নিয়ে গবেষণা হচ্ছে । ১৯৭৬ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে কবিকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।

আজকে বাঙ্গালী জাতিকে বীরের জাতি বলা হয়না সে আগের মত , আমার হারাতে বসেছি আমাদের সেই গোরব উজ্জল ইতিহাস, আজ আমরা কাপুরুষের মত পর নির্ভরশিল । আমরা শাসক গুষ্টিরা দিনদিন শাসনের পরিমাণ বাডিয়ে চলেছি । অবহেলিত,বঞ্চিত, নিপীড়িত মানুষের হয়ে সেই আগের মত যেন মানুষ নেই। কবির কবিতায় অনুপ্রানিত হয়ে নতুন করে দেশ গড়ি ।   

সাইন্সফিকশন প্রেমীদের জন্য হুমায়ন আহমেদের সাইন্স ফিকশন লিস্ট।

         বাংলাদেশের প্রথম বিজ্ঞান কল্পকাহিনি রচনা করেছেন হুমায়ূন আহমেদ, বইটির নাম তোমাদের জন্য ভালবাসা। এটি তিনি ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিজ্ঞানে প্রভাষক থাকাকালীন লিখেছেন। এই বইয়ের মাধ্যমেই তাঁর প্রথম কল্প-বৈজ্ঞানিক চরিত্র ফিহার আত্মপ্রকাশ ঘটে।  ফিহা মহা আঙ্কিক ছিলেন। ২৬ বছর বয়সের ফিহা ত্রিমাত্রিক সময় সমীকরণের প্রথম সমাধানকারী। তোমাদের জন্য ভালোবাসা রচনার শেষে হুমায়ূন আহমেদ সংযুক্ত করেন বিশেষ একটি নির্ঘণ্ট। কল্পকাহিনিতে ব্যবহার করা কঠিন সব বিজ্ঞান পরিশব্দের সহজ ব্যাখ্যা ছিল এই নির্ঘণ্টে। এরপর তিনি একে একে রচনা করে গেছেন গোটা বিশেক বিজ্ঞান কল্পকাহিনি।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো:
  • অনন্ত নক্ষত্র বীথি (১৯৮৮),
  • ইরিনা (১৯৮৮),
  • কুহক (১৯৯১),
  • ইমা (১৯৯৮),
  • ওমেগা পয়েন্ট (২০০০),
  • শূন্য (১৯৯৪),
  • নিষাদ (১৯৮৯),
  • মানবী (২০০৯) প্রভৃতি।

                            




সাধারণ পাঠকদের জন্য বিজ্ঞানের নানা বিষয়, রহস্য উপন্যাস আকারে রচনা করেন হুমায়ূন আহমেদ। বিভিন্ন বইয়ের উৎসর্গপত্রে তার ভূমিকাই প্রকাশ তাঁর সহজ ভাষা বিজ্ঞান কল্পকাহিনি লেখার কারণ।
‘ওমেগা পয়েন্ট নিয়ে গুছিয়ে একটা গল্প দাঁড় করানোর ইচ্ছা আমার অনেক দিনের। বিষয়টা শুধু জটিল বললে ভুল বলা হবে—বেড়াছেড়া লেগে যাওয়ার মতো জটিল। শেষ পর্যন্ত জটিল চিন্তাগুলো লিখে ফেলতে পেরেছি এটাই বড় কথা। গল্প বলার সময় বিজ্ঞানের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করেছি। পাঠকের কাছে অনেক তথ্যই উদ্ভট লাগতে পারে। তারা ভুরু কুঁচকে ফেলতেও পারেন। ভুরু কুঁচকানো পাঠকদের সবিনয়ে জানাচ্ছি, বিজ্ঞানে উদ্ভট বলে কিছু নেই। বিজ্ঞান রূপকথার জগতের চেয়েও অনেক রহস্যময়।’ -(হুমায়ূন আহমেদ, ওমেগা পয়েন্ট বইয়ের উৎসর্গপত্রে, ০৫.০২.২০০০ সালে)
হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট চরিত্রসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আর একটি চরিত্র হলো মিসির আলি। এই চরিত্রটি মনস্তাত্ত্বিক, বিজ্ঞাননিভর্র এবং যুক্তিনির্ভর আচরণ করে। হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন, ‘(মিসির আলি) একজন মানুষ, যাঁর কাছে প্রকৃতির নিয়মশৃঙ্খলা বড় কথা, রহস্যময়ের অস্পষ্ট জগৎ যিনি স্বীকার করেন না।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মিসির আলি অনুসরণ করেন বিশুদ্ধ যুক্তি। এই যুক্তিই মিসির আলিকে রহস্যময় জগতের প্রকৃত স্বরূপ উদ্ঘাটনে সাহায্য করে। মিসির আলিকে কেন্দ্র করে হুমায়ূন আহমেদের রচিত উপন্যাসগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: দেবী, নিষাদ, বিপদ, কহেন কবি কালিদাস, তন্দ্রাবিলাস, অনীশ প্রভৃতি।

                                                    

সোমবার, ২০ আগস্ট, ২০১২

Admine pic .........my pic.....

Eid MUBARAK...................ALL my friend............

ঈদ-উল-ফিতর-2012 উপলক্ষে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান কম নেট স্পীডে সরাসরি দেখুন অনলাইনে । (TV)

আসসালামু আলাইকুম। সবাইকে ঈদ এর  শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি , আশা করি সকলেই ভাল আছেন 

                                          

ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে আমরা অনেকেই গ্রামের বাড়ী বেরাতে গিয়েছি ।  গ্রামে আমরা ইচ্ছে করলেই বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান দেখতে পারবো না কারণ শহরের মত গ্রামে তেমন ডিশ লাইন নেই, তাই আপনাদের সাথে আমি এমন একটি সাইট শেয়ার করবো যেখানে আপনারা গ্রামে বসেই  কম স্পীডে সরাসরি ঈদ-উল-ফিতর-2012 উপলক্ষে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন । আর কথা বাড়াবনা, নিচের দেওয়া লিংকে ক্লিক করুন এবং চ্যানেল নির্বাচন করে উপভোগ করুন ঈদ এর অনুষ্ঠান । সবাইকে আবারো ঈদ এর  শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি।